Nataisuto

তিনাপ সাইতারের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।

...::: অনিন্দ্য সুন্দর তিনাপ :::...

তিনাপ সাইতার বাংলাদেশের সব থেকে বড় এবং সব থেকে সুন্দর ঝর্ণাগুলোর মধ্যে একটা। তিনাপ নিয়ে অনেক পোস্টই আছে গ্রুপে। কিন্তু সবার অভিজ্ঞতার সাথে আমার  অভিজ্ঞতার বেশ কিছু পার্থক্য আছে। তাই পোস্ট করছি।

তিনাপ সাইতার সন্দেহাতীতভাবে অসাধারণ। আমরা ছবিতে তিনাপকে যতটা সুন্দর মনে করি, তিনাপ তার থেকেও অনেক বেশি সুন্দর। নিজের চোখে না দেখলে তিনাপের সৌন্দর্য বোঝা সত্যিই অনেক কঠিণ। তিনাপ সাইতার যাওয়ার অনেকগুলো বিকল্প ব্যবস্থা আছে। সবার সুবিধার জন্য আমি আমার অভিজ্ঞতা গুছিয়ে শেয়ার করার চেষ্টা করছি।

প্ল্যানের শুরুতে আমরা আমাদের রুমার একজন গাইডের সাথে যোগাযোগ করি। উনি আমাদের রুমা থেকে আর্থাপাড়া দিয়ে নিয়ে যাবেন বলে জানান। আর্থাপাড়া দিয়ে ঢোকার আইনগত অনুমতি নেই এ বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম। আমরা এ উনার কাছে অনুমতির ব্যাপারে জানতে চাইলে উনি বলেন কোন সমস্যা নাই। অনেক হিসাব নিকাশ করে আমরা রোয়াংছড়ি দিয়ে ঢোকার সিদ্ধান্তই নেই যা একদম সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। আর্থাপাড়া দিয়ে ভুল করেও কেউ অনুমতি ছাড়া ঢোকার চেষ্টা করবেন না।

আমরা বান্দরবানে পৌঁছাই এ মাসের ৫ তারিখে। বান্দরবান থেকে আরও কয়েকটা জায়গায় ঘুরে আমরা তিনাপের জন্য যাত্রা শুরু করার জন্য প্রস্তুত হই মূলত ০৮ তারিখে। আমরা ০৯ জন মিলে বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ির সকাল ০৮ঃ৫০ এর বাসে উঠি। বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ির দূরত্ব থেকে ২০ কিলোমিটার। কিন্তু পাহাড়ি উঁচু নিচু রাস্তার জন্য বাসে করে যেতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লেগে যায়। আমরা রোয়াংছড়িতে পৌঁছাই বেলা ১০:৪০ এর দিকে।

রোয়াংছড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি বাজারে হেটে যেতে ৫ মিনিটের মত লাগে। এখান থেকেই আপনি তিনাপের জন্য গাইড এবং যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য যা যা দরকার তার সব পাবেন। আমরা রোয়াংছড়ি বাজারে গিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়ে যাই। আমাদের কোন গাইড পছন্দ হচ্ছিল না। আমরা চাচ্ছিলাম ভাল বাংলা বোঝা, বাংলা বলতে পারা এবং ভাল অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কাউকে। আমরা যখন গাইড পছন্দ করতে পারলাম তখন প্রায় বেলা ০১:০০ টা বাজে।

সব কাগজপত্র আমরা ঠিকঠাক করে নিয়ে আমরা স্থানীয় থানা থেকে ছাড়পত্র নেই। তারপর রোয়াংছড়ি আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে আমাদের প্ল্যানটা জানাই এবিং সেই মোতাবেক অনুমতি চাই। আমাদের সেদিনের গন্তব্য ছিল রনিনপাড়া। উনারা সবকিছু যাচাই করার পর আমাদেরকে যাওয়ার অনুমতি দেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম রনিনপাড়া পর্যন্ত পুরো রাস্তা ট্রেকিং করে যাব। কিন্তু আমরা যখন সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে রওনা হই তখন বাজে বেলা ০২:২০। ইতোমধ্যেই আমরা টিওবির কল্যাণে পূর্বের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সবার থেকেই সকাল সকাল রওনা হওয়ার পরামর্শ পাই। তবুও আমরা ছিলাম নাছোড়বান্দা। শেষ পর্যন্ত ট্রেক করেই যাব বলে সিদ্ধান্ত নেই।


তিনাপে ট্রেকিং করে যেতে হলে কিছু দূর হাটার পর দেখা পাবেন একটা ঝিরিপথের। পুরো ঝিরিপথ পাড় হতে সময় লাগবে প্রায় ১ ঘণ্টা। ঝিরিপথে ট্রেকিং-এ তেমন কষ্ট নেই। ঝিরিপথ শেষ হলেই শুরু হবে মূল ট্রেকিং। তিনাপের উদ্দেশ্যে ট্রেকিং বলতে হার্ড ট্রেকিং-ই বোঝায়। পুরো রাস্তা ট্রেক করে রনিনপাড়ায় পৌঁছতে ৬ ঘন্টা লেগেই যায়। এই রাস্তাটাই বেশি কঠিণ। রনিনপাড়া পর্যন্ত যেতে রাস্তার দু জায়গায় দুটো পর্যটকদের জন্য বিশ্রাম করার জায়গা রয়েছে। আমাদের গাইড বলেছে সেটার নাম যাত্রীছাউনী। :D রনিন পাড়া থেকে তিনাপ পর্যন্ত ট্রেকিং করে যেতে ৩ ঘণ্টার মত লাগলেও ঐ পথ ধরে যেতে খুব বেশি কষ্ট হয় না।

মাঝে আমাদের টিমের একজন বেশ অসুস্থতা বোধ করে। আমরা পুরো টিম কিছুটা স্লো হয়ে যাই এবং প্রয়োজনের থেকে বেশি সময় রেস্ট নেই। আমরা যখন রনিনপাড়া পৌঁছাই তখন ঘড়িতে বাজে মোটামুটি রাত ০৯:৪৫ এর মত। রোয়াংছড়ি থেকে আপনারা যে রেজিস্টার্ড গাইড নেবেন, উনিই আপনাদের থাকা এবং খাওয়ার সব ব্যবস্থা করে রাখবেন। আপনারা রনিনপাড়া পৌঁছেই দেখবেন আপনাদের জন্য সব প্রস্তুত করা আছে।

আমরা রনিনপাড়া পৌঁছে গোসল করে রাতের খাবার সেরে ফেলি।  রাতে ঘুমিয়ে যাওয়ার সময় বুঝতে পারি আমাদের টিমের কয়েকজনের পায়ে ফোস্কা পড়ে গেছে। কি করব বুঝতে পারছিলাম না। আমরা বেশ ভয় পাচ্ছিলাম পরের দিনের ট্রেকিং এর কথা ভেবে। এর মধ্যে আমি গাইডকে জিজ্ঞেস করলাম পায়ে ফোস্কা পড়লে উনারা কি করেন। উনি বললেন গরম পানি ঢালার কথা। আমরা গরম পানির জন্য অপেক্ষা করে করে সেদিনের মত ঘুমিয়ে পড়ি।

পরদিন সকালে আমরা আমাদের সাথে নেয়া নুডলস দিয়ে সেগুলো রান্না করে দিতে বলি। সেগুলো খেয়েই আমরা রনিনপাড়া আর্মি ক্যাম্পে যাই তিনাপের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে অনুমতি নেয়ার জন্য। এখানেও সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আমরা যখন রওনা হই তখন আমাদের টিমের দুইজন যেতে পারবে না বলে জানায়। তাদের না যাওয়ার কারণ ছিল পায়ের বেশ বড় ফোস্কা এবং তার ব্যাথা। আমরা যখন রওনা হই তিনাপের উদ্দেশ্যে তখন বাজে প্রায় বেলা ১১:০০ টা। এত দেরীতে রওনা দেয়াটা আমাদের উচিত হয়নি।সেসব বিষয়ে বিস্তারিত পরে বলছি।

রনিনপাড়া থেকে তিনাপে যাওয়ার অনেকগুলো পথ রয়েছে। টিওবি এবং আমাদের এক বড় ভাইয়ের থেকে আমরা দেবাছড়া পাড়ার নাম শুনি এবং জানতে পারি প্রাকৃতিক-নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত সব থেকে সুন্দর পাড়া-ই হলো দেবাছড়া পাড়া৷ আমরা গাইডকে দেবাছড়া পাড়া হয়ে আমাদেরকে তিনাপ নিয়ে যাওয়ার জন্য বলি। রনিনপাড়া থেকে দেবাছড়া পাড়া পর্যন্ত যেতে প্রায় ৩৫-৪০ মিনিটের মত ট্রেকিং করতে হয়। আমার দেখা আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত সব থেকে সুন্দর পাড়া হলো দেবাছড়া পাড়া। এখান থেকে সিপ্পি পাহাড় খুব কাছে এবং স্পষ্ট দেখা যায় যা আপনি পাবেন বোনাস হিসেবে। দেবাছড়া পাড়ায় আমরা হালকা পানি পান করে আবার উঠে পড়ি৷ দেবাছড়া পাড়ার থেকে মিনিট দশেক ট্রেক করলেই পাবেন দেবাছড়া ঝিরির দেখা। এখন পর্যন্ত আমাদের দেখা সব থেকে সুন্দর ঝিরি হলো এই দেবাছড়া ঝিরি। দেবাছড়া ঝিরি পাড় হয়ে বেশ কয়েকটা উচু নিচু পাহাড় পাড়ি দিয়ে দেখা মিলবে পাইন্দু খালের। আমার দেখা এখন পর্যন্ত সব থেকে সুন্দর খাল হলো পাইন্দু খাল। বেশ কিছু জলপ্রপাত দেখতে পাবেন এই খালে। পাইন্দু খালের পড়েই দেখা মিলবে আমাদের কাংক্ষিত তিনাপ সাইতার এর।

আমরা যখন তিনাপ পৌঁছাই তখন বেলা বাজে প্রায় ০২:১০ মিনিট৷ আমরা ০৩:০০ টা পর্যন্ত তিনাপে থেকে রনিনপাড়ায় সেইম রুট ধরে এসে পৌঁছাই বিকাল ০৫:৪৫ এর দিকে। পরের দিন আমরা রনিনপাড়া আর্মি ক্যাম্পে জানিয়ে রোয়াংছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই৷ টিমের কয়েকজনের পায়ের অবস্থা খারাপ হওয়ার জন্য এবার আমরা ভিন্নপথ অবলম্বন করি৷ আমরা রনিনপাড়া থেকে দেড় ঘণ্টা ট্রেক করে এসে পৌঁছাই পাইক্ষ্যং পাড়ায়। সেখান থেকে হালকা খেয়ে আবার উঠে পড়ি। পাইক্ষ্যং পাড়া থেকে ৩০ মিনিট ট্রেকিং করলে পাবেন কেপলং পাড়া। কেপলং পাড়া থেকে প্রায় ৩৫ মিনিট ট্রেক করলে পাবেন তালুকদার পাড়া। তালুকদার পাড়ার আগেই নদীর ঘাট পাবেন। এখান থেকে বোটে করে আপনি ২০ মিনিটেই পৌঁছে যাবেন রোয়াংছড়ি। রনিনপাড়া টু রোয়াংছড়ি পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে শর্টকাট ওয়ে।

রোয়াংছড়ি থেকে রনিনপাড়া পর্যন্ত চাঁদের গাড়িতে করেও যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে উঁচু পাহাড়ের কাছে আসলে চাঁদের গাড়ি থেকে নেমে উঁচু পাহাড় হেটেই পাড় হতে হয়। সব হিসাব করে ট্রেকিং করে যাওয়াটাই সব থেকে মজার।

ট্রেকিং রুটঃ

রোয়াংছড়ি --> কেপলং পাড়া এলাকা --> পাইক্ষ্যং পাড়া --> রনিনপাড়া

রনিনপাড়া --> দেবাছড়া পাড়া --> দেবাছড়া ঝিরি --> পাইন্দু খাল--> তিনাপ

শর্টকাট রুটঃ

রোয়াংছড়ি --> বোটে করে তালুকদার পাড়া --> কেপলং পাড়া --> পাইক্ষ্যং পাড়া --> রনিনপাড়া

প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রাদিঃ

১. ড্রাই ফুড এর মধ্যে বিস্কুট, চকলেট, ম্যাংগো বার, নুডুলস এবং পর্যাপ্ত পানি রাখবেন সাথে।
২. ছুড়ি, টর্চ, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ফার্স্ট এইড কিটস, টাইট আন্ডারওয়্যার, পানির বোতল, ক্যাপ, সান গ্লাস।
৩. ম্যালেরিয়া, জ্বর, এন্টি আলসারিয়াল, পেইন কিলার, বমি এবং মাসল রিলাক্সেশন মেডিসিন।
৪. জাতীয় পরিচয়পত্র/স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ৩ কপি করে ফটোকপি।
৫. রনিনপাড়া থেকে যোগাযোগ করার জন্য টেলিটক সিম সবচেয়ে ভালো।

খরচঃ

ঢাকা থেকে বান্দরবান বাসে জনপ্রতি - ৬২০/=
বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি বাসে জনপ্রতি - ৬০/=
গাইড দিনপ্রতি - ১০০০/=
রনিনপাড়ায় প্রতিরাত থাকা জনপ্রতি - ১৫০/=

খাবারের আইটেম ভেদে টাকার কম বেশি হয়ঃ
<> ভাত + আলু ভর্তা + ডাল [পর্যাপ্ত পরিমাণে]  জনপ্রতি - ১৩০/=
<> ভাত + ব্রয়লার মুরগী + ডাল জনপ্রতি - ১৭০/=
<> ভাত + দেশী মুরগী + ডাল জনপ্রতি - ২০০/=

বোটে করে রোয়াংছড়ি থেকে তালুকদার পাড়া জনপ্রতি - ১০০/=
চাঁদের গাড়িতে করে রোয়াংছড়ি থেকে রনিনপাড়া - ৪০০০/=
রোয়াংছড়ি থেকে বান্দরবান চাঁদের গাড়িতে - ১০০০/= (কথা বলে নিতে হয়)

সতর্কতামূলক কিছু কথাঃ

১. রেজিস্টার্ড গাইডের মাধ্যমে রোয়াংছড়ি থানায় গিয়ে প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণ করে ছাড়পত্র নিতে হবে।
২. থানা থেকে দেয়া ছাড়পত্র রোয়াংছড়ি আর্মি ক্যাম্পে দেখিয়ে আপনাদের ট্যুর প্ল্যান জানিয়ে অনুমতি নিতে হবে।
৩. বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ির প্রথম বাস সকাল ০৮:০০ টায় ছাড়ে। চেষ্টা করুন প্রথম বাস ধরার জন্য। যত সকালে যাবেন ততই আপনার সুবিধা। আমরা দেরী করার জন্য রনিনপাড়ায় যাওয়ার রাস্তায় দু বার সাপ পড়েছিল সামনে।
৪. রনিনপাড়া পৌঁছামাত্রই রনিনপাড়া আর্মি ক্যাম্পে ইনফর্ম করুন। আপনার-আমার সেফটি নিশ্চিত করতেই উনারা ওখানে আছেন। উনাদেরকে উনাদের কাজ করতে সাহায্য করুন।
৫. রনিনপাড়া পৌঁছেই পরের দিনের প্ল্যানের কথা জানিয়ে আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিয়ে রাখুন। তাহলে পরের দিন আর সময় নষ্ট করতে হবে না।
৬. রনিনপাড়া থেকে তিনাপের পথে প্রচুর জোঁক আছে পথে। ট্রেকিং সু এর সাথে ঊলের মোজা পড়ে নিয়ে মোজার মধ্যে ট্রাউজার্স গুঁজে দিলে জোঁক থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৭. জোঁক ধরলে ছাড়াতে সুবিধার জন্য লবণ এবং গুল সাথে রাখুন।
৮. ট্রেকিং টাইমে মুখ দিয়ে শ্বাস নেবেন না। এতে আপনার স্ট্যামিনা তাড়াতাড়ি ফল করবে।
৯. ট্রেকিং টাইমে স্মোকিং এভয়েড করুন। নাহলে ট্রেকিং করতে খুব কষ্ট হবে।
১০. পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি এবং শুকনা খাবার সাথে রাখুন।
১১. ট্রেকিং টাইমে টিম-ওয়ার্ক করুন। একজন আরেকজনের সাপোর্ট হোন। কেউ কাউকে ফেলে চলে আসবেন না। কারও রেস্ট দরকার হলে আওয়াজ দিন। পুরো টিম একসাথে কাজ করুন।
১২. এমন কিছু করবেন না যাতে করে পাহাড়িরা মনে কষ্ট পায় আর আমাদের বাঙালিদের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়। তাদেরকে সম্মান করুন।
১৩. কেপলং পাড়ায় কলা প্রতি পিস ১/= আর দেবাছড়া পাড়াতে কলা জোড়াপ্রতি ১.৫/= ; আনারস রনিনপাড়ায় প্রতি পিস ২০/= কেপলং পাড়াতে ৪০/= ; কেপলং পাড়াতে সেদ্ধ ডিম প্রতি পিস ১৫/=; এগুলো না খেয়ে আসলে মিস করবেন। খুবই সুস্বাদু এবিং আপনার ক্লান্তি দূর করতে পুরোপুরি সক্ষম এগুলো।
১৪. ব্যাক করার সময় রনিনপাড়া আর্মি ক্যাম্পে এবং ফিরে এসে রোয়াংছড়ি আর্মি ক্যাম্পে জানাতে ভুলবেন না।
১৫. হাঁটার সময় গাছের পাতা লক্ষ্য করে এবং যথাসম্ভব পাতা থেকে গা বাঁচিয়ে হাঁটবেন। মনে রাখবেন এগুলো জোঁকের আখড়া।

ভ্রমণ হোক সুন্দর ও আনন্দময়।

**পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে কোথাও অপচনশীল কিছু রেখে আসবেন না। এই ঝর্ণা-প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত জায়গাগুলো আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ। এগুলোতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে নষ্ট করবেন না।**
written by, mahabub rahaman sumon.

Post a Comment

0 Comments