মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণ!!
মোটামুটি কম খরচে একটা শর্ট ব্রেকের জন্য অসাধারণ জায়গা মনপুরা দ্বীপ।। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় সেন্ট মার্টিন টাইপ ফিলিংস পাবেন ;)
এই দ্বীপে নিঝুম দ্বীপের মত হরিণ আছে অনেক, চাইলে হরিণও দেখতে পারবেন... আর কেও সাইকেল নিয়ে গেলে চাইলে পুরো দ্বীপ ঘুরে দেখতে পারবেন যাতায়াত খরচ ছাড়া। আমরা সাইকেল নিয়ে যাওয়ায় পুরো দ্বীপ ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম।।
সাথে নামমাত্র মূল্যে ইলিশের স্বাদ নিতে পারবেন..আমরা মাছ কিনতে গিয়েছিলাম কিন্ত নৌকার মালিকের সাথে পরিচয় হওয়ার পর উনি উপহারস্বরূপ একটা স্বাস্থ্যবান ইলিশ মাছ আমাদের দিয়ে দেয়😁
চাইলে নৌকার মাঝিদের বলে তাদের সাথে রাতের বেলা বোটে করে মাছ শিকারে যেতে পারবেন।
এইখানে ইলেকট্রিসিটি সবসময় থাকেনা। সন্ধা ৬ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত ইলেকট্রিসিটি পাবেন।
জায়গাটা শুধুমাত্র কোলাহলবিহীন কিছু মুহূর্ত কাটানোর জন্য আর মেন্টাল রিলাক্সেশন এর জন্য..সেন্ট মার্টিন এর মত ফিলিংস বললাম এই শুনে সেন্ট মার্টিন ভেবে চলে যাবেন না..😁
এই দ্বীপের মানুষ খুবই ভাল, যে কোন ব্যাপারে তাদের সাহায্য পাবেন।
যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা সদরঘাট থেকে বিকাল ৫ঃ৩০ টায় এমভি ৩/৪ অথবা তাশরীফ-২ এ করে মনপুরা চলে যাবেন, ভাড়া ডেকে ৩০০ টাকা(আগে ১৫০ টাকা ছিল, ইদের পর ভাড়া বাড়ানো হয়েছে তাই আগের পোস্ট দেখে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না)। আর কেবিনে কোয়ালিটি ভেদে ১৫০০-৫৫০০ পর্যন্ত আছে.. মনপুরা দ্বীপে পৌঁছাবেন সকাল ৫ঃ৩০/৬ টায়..দ্বীপে নেমে বাইকে করে চলে যাবেন হাজীরহাট। সেখানে কয়েকটা হোটেল আছে। হোটেলের ভাড়াও অনেক কম, ডাবল রুমে ৪ জন খুব সহজেই থাকতে পারবেন, ভাড়া ৩০০/৪০০ টাকা। হাজীরহাট হোটেল থেকে ৫ মিনিট হাঁটলেই নদীর পাড়..সকাল-সন্ধ্যায় নদীর পাড় ধরে হাঁটতে থাকলে অসাধারণ লাগবে..আর হরিণ দেখতে চাইলে আপনাদের হাজিরহাট থেকে চলে যেতে হবে আলমবাজারে..জোয়ারের সময় যাওয়া ভাল, তাহলে হরিণ দেখার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী..আর রাতে চাইলে নদীর পাড়েই বারবিকিউ করতে পারবেন।প্রতিদিন দুপুর ২ঃ৩০ টায় ওখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চ আসে। তবে না থাকলে ঘুরতে পারবেন না।। দ্বীপে একদিন থেকে পরেরদিন দুপুর ২ টায় আবার মনপুরা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চে চলে আসতে পারেন। ঢাকায় ভোর ৫ টায় এসে পৌঁছাবেন...
আর সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় অনেকে ধরবে টাকা দেওয়ার জন্য! কিন্ত কখনো জিজ্ঞেস করবেন না কত টাকা দিব। ডিরেক্টলি মানা করে দিবেন।।বলবেন টাকা নাই..আপনাকে অনেক চাপে ফেলবে টাকা দেওয়ার জন্য, কিন্ত আপনারা আপনাদের কথায় অটল থাকবেন। নমনীয় হইছেন তো বাঁশ খাবেন... কোনভাবে টাকা দিবেন না লঞ্চঘাটে সাইকেলের জন্য। এইটা উনারা যার থেকে যেভাবে পারে মালপত্রের জন্য টাকা নেয় কিন্ত এইটা বে-আইনী..সাইকেল লঞ্চে উঠিয়ে এক সাইড করে কোন গ্রীলের সাথে তালা দিয়ে বেঁধে রাখবেন..
বিঃদ্রঃ ময়লা আবর্জনা ফেলে কেও দ্বীপের পরিবেশ নোংরা করবেন না :)
all credit by hosain arif
0 Comments