Nataisuto

বাড়বকুন্ড ট্রেইল & কালভৈরবী মন্দির

বাড়বকুন্ড ট্রেইল & কালভৈরবী মন্দির😍

বাড়বকুন্ড তুলনামূলক অপরিচিত ট্রেইল।বাংলাদেশের একমাত্র হট ওয়াটার স্প্রিংস এখানেই দেখতে পাবেন।অপরিচিত হওয়ায়
যাওয়ার আগে অনেক ঘাটাঘাটি করেও তেমন কোন ইনফো খুঁজে পেলাম না অথচ ঘুড়ার জন্য বেশ ভাল একটি প্লেস।

বাড়বকুন্ডের সবচেয়ে আকর্ষনীয় পার্ট হচ্ছে অগ্নিকুণ্ড মন্দির (পানির উপর আগুন জ্বলছে, মিথেন গ্যাসের জন্য…দেখতে খুব ইন্টারেস্টিং লাগবে), অনেক অনেক মিথ প্রচলিত আছে এই মন্দির নিয়ে। এছাড়াও এখানে শতশত বর্ষ পুরানো বেশ কিছু মন্দির আছে (কালভৈরবী যার মধ্যে অন্যতম)। পাহড়ি রাস্তার ২ পাশে পেয়ারা+আম বাগান এর মধ্যে দিয়ে হাটতে হাটতে কখন যে পৌছে যাবেন টের ই পাবেন না। অপেক্ষাকৃত সহজ+সুন্দর একটি ট্রেইল( পুরো কাভার করে আবার ফিরে আসতে সময় লাগবে কম-বেশি ৩-৪ ঘন্টা)। এই ট্রেইলে ২ টি খুম এবং ১ টি ঝর্নাও আছে। মন্দির থেকে নেমে হাতের বাম দিকে একটি খুম পাবেন,ঠিক তার পাশ ঘেষেই যে ঝিরিপথ আছে তা ধরে 20-25 মিনিট হাটলেই প্রথম ঝর্না। ঝিরিপথ ধরে এগোলেই বাকি ঝর্না গুলো পেয়ে যাবেন।বিশেষ করে শেষ ঝর্নাটার কথা বলতেই হয়, সেটা পর্যন্ত যেতে ধৈর্য থাকার অতি প্রয়োজন।সেটি দেখার পর আপনার দেহের সারাদিনের ক্লান্তি কেটে যাবে আশা করি✌

যাওয়ার পদ্ধতি-

 ঢাকা-চট্টগ্রামগামী যে কোনো বাসে উঠে বাড়বকুন্ড বাজারে নেমে পড়ুন অথবা চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনে সীতাকুণ্ড নেমে হাইওয়ে থেকে মিনি বাস ছাড়ে।সীতাকুণ্ড থেকে বাড়বকুন্ড বাজার বল্লেই হবে। ভাড়া মাত্র ১০ টাকা। বাড়বকুন্ড বাজারে নেমে সোজা হাটা শুরু করবেন। কোন গাইডের প্রয়োজন নেই। আবার বলছি একদম সোজা(পথে কিছু ডানে/বামে রাস্তা পাবেন , কোনদিক নয় একদম সোজা হাটতে থাকবেন).৪০-৪৫ মিনিট হাটলেই পৌছে যাবেন অগ্নীকুন্ড মন্দিরে ,তার আশেপাশেই বাকি সব মন্দির।

সতর্কতাঃ
যেতে যেতে জোঁকের দেখা মিলতে পারে।সাথে লবন অথবা সরিষার তেল নিতে পারেন।

বিঃদ্র- যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলি।নিজেও পরিষ্কার রাখি & অন্যকেও রাখতে সাহায্য করি।

Post a Comment

0 Comments